বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাক্রমে বা কারিকুলামে শিক্ষামূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ কারিকুলাম অনুসারে নির্ধারিত শ্রেণির নির্ধারিত পাঠ্যক্রমের বিষয়/অধ্যায় পাঠদান চলাকালে বা সমাপ্তিতে শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিক্ষা মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। নির্ধারিত পাঠের অধ্যয়ন ও অনুশীলন দ্বারা শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশিত জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির কতটুকু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তা যাচাই করার উপায় হচ্ছে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন। পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করেই জানা যায় শিক্ষার্থীর শিখন ঘাটতি আছে কিনা, ঘাটতির পরিমাণ কতটুকু, কোন ক্লাসে কে পড়ার উপযোগী। ঘাটতি চিহ্নিত করা গেলেই সে ঘাটতি পূরণের জন্য নেওয়া যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। এটি অনেকটা রোগ নির্ণয়ের মতই। রোগ নির্ণয় ভুল হলে, ত্রুটিপূর্ণ হলে, অসম্পন্ন হলে যেমন সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব নয়, রোগী সুস্থ-সবল করা সম্ভব নয়; তেমনি শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা চিহ্নিত করে সেটি কাটিয়ে ওঠার প্রয়োজনীয়...