হিমালয়ের দেশ নেপালে চলমান বিক্ষোভ কেবল নজিরবিহীনই নয়, বরং রাজনৈতিক শ্রেণির প্রতি ব্যাপক জনঅসন্তোষকেও স্পষ্ট করেছে। কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়িসহ রাজনীতিকদের বাসভবন ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর আশ্রয়ে চলে গেছেন অনেক নেতা, এমনকি মন্ত্রীও। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ স্পষ্টই ধরা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দুর্নীতিবিরোধী স্লোগান ছাড়া অন্য কোনও নির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেনি। আন্দোলনটি স্বতঃস্ফূর্তই মনে হয়েছে, কোনও সংগঠিত নেতৃত্বও দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে নেপাল। তবে কে ওলির স্থলাভিষিক্ত হবেন বা নতুন কোনও শাসন কাঠামো গড়ে উঠবে কি না—সে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি। প্রবীণ রাজনীতিবিদরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, নেতৃত্বে কেউ নেই। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও আমলারা শান্তির আহ্বান জানাচ্ছেন—এতে বোঝা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃত্ব একপাশে সরে...