বৃষ্টির ঝমঝম আওয়াজটা কমে ক্রমশ বাতাসের সাথে মিশে ঝিরঝিরে মিষ্টি একটানাতালে বেজে চলেছে।অফিস থেকে নেমে আরিফ আধ-খাওয়া সিগারেটটা বিনে গুঁজে ড্রাইভওয়ে থেকে গাড়িটা নিয়ে লেকভিউর রাস্তা ধরে চলতে লাগলো। অ্যারাবিকার গুলশানের আউটলেটে গাড়ি পার্ক করলো। অ্যারাবিকায়চিকেন ক্রোসেন্ট আর ব্ল্যাক কফির টেস্টটা ইদানীংআরিফ খুব উপভোগকরে।মন খারাপ হলেই চলে আসে এখানে, কফির উত্তাপে পুড়িয়ে দিতে চায় বিরহের দহন।অ্যারাবিকায় পিক আওয়ারে লোকজন গিজগিজ করে আজ বৃষ্টি বলেই হয়তোবা লোক কিছুটা কম।অর্ডার করে জানালার গ্লাসে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিটা দেখবে বলেযুৎসই একটা জায়গায়বসে পড়ে আরিফ। কফিতে চুমুক দিয়ে তাকাতেই চোখে পড়লো সামনের টেবিলেবসা রিয়ানাকে, রিয়ানা, হ্যাঁ রিয়ানাই তো! হোক ১২ বছর! রিয়ানাকে চিনবে না আরিফ! হ্যাঁসময়ের ইরেজার কত কিছুইমুছে দিয়েছেকিন্তু এ মুখটা কিছুতেই মুছে দিতেপারেনি,অবুঝ মনের সবুজ উপত্যকায়আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে মুখটা! সহজাত স্বাভাবিক বাধা কাটিয়ে...