জুলাই অভ্যুত্থানের নিহত রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মরদেহের ‘ত্রুটিপূর্ণ’ সুরতহাল প্রতিবেদন দিতে ‘বাধ্য করা হয়েছে’ বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ সদস্য। তিনি বলেন, ‘আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয় কথা না শুনলে তোকে জামায়াত-শিবির বানিয়ে চালান দেব’। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষী হিসেবে এসআই মো. তরিকুল ইসলাম তার জবানবন্দিতে এমন কথা বলেন। তরিকুল ইসলাম গত বছর ১৬ জুলাই রংপুর কোতোয়ালি থানা এলাকা ও হাসপাতালে ইউডি (অপমৃত্যু) ডিউটি ছিলেন। ট্রাইব্যুনালে তিনি বলেন, আবু সাঈদের মাথার পেছনে গুলির আঘাত ছিল। কিন্তু গুলিতে মৃত্যুর কথা না লিখতে তাকে ‘বাধ্য করা হয়’। এসময় তিনি জানান, স্ট্রেচারে রক্তমাখা মরদেহ। শরীরজুড়ে ছররা গুলির ক্ষত। আর মাথার পেছনে রক্তাক্ত চিহ্ন। এমন ভয়াবহ চিত্র নিজ চোখে দেখলেও সুরতহাল প্রতিবেদনে...