কাঠমান্ডুতে এসেছিলাম বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ফুটবল ম্যাচের খবর সংগ্রহ করতে। কিন্তু এখানে এসে তারুণ্যের আরেকটি অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়ে যাব, তা স্বপ্নেও ভাবিনি। মঙ্গলবার দুপুরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরপরই বদলাতে থাকে কাঠমান্ডুর আবহ। জেন-জি বিক্ষোভকারীরা ছোট ছোট মিছিলে, মোটরবাইকে চেপে পতাকা উড়িয়ে উদযাপনে মাতে। সকাল থেকে হোটেলে বন্দি বিদেশি পর্যটকরার বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। কেউ ব্যস্ত সেলফি তুলতে, কেউ ভিডিও করছিলেন। দুদিন ধরে ক্ষোভের উদগীরণের পর কাঠমান্ডুর থামেল এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে নেপালের নানা অংশে। কেপি শর্মা ওলির সরকারের ‘দুর্নীতি’, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল নেপালের জেনারেশন জেড, মানে জেন-জিরা। সোমবার তারা রাজপথে নেমে আসে দলে দলে। শুরু হয় জ্বালাও-পোড়াও। পার্লামেন্ট ভবন, প্রশাসনিক ভবন, রাজনীতিবিদদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়...