মামুনুল হক: শাপলা চত্বর থেকে পালিয়ে আসা কথাটার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই একমত নই। সেদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী গুলি, টিয়ারশেল দিয়ে নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালায়। গুলির মুখে সেখানে অবস্থান করাটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আর এর কোনো নজিরও ইতিহাসে নেই। সেদিন বহু মানুষ প্রাণ দিয়েছে, কেউ আহত হয়েছে, কারও চোখ নষ্ট হয়েছে, কারও অঙ্গহানি হয়েছে। তবে এ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অস্তিত্বে এমন কলঙ্কের দাগ লেগেছে যা শত-সহস্র বছরেও মুছবে না। বরং এ শাপলা চত্বরই বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছে। ২০১৩ সালের আন্দোলনই ২০২৪ সালের জুলাইয়ের বিপ্লবকে সফল করেছে। তাই শাপলা আমাদের চেতনার বাতিঘর। যেমনিভাবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বালাকোটের রণাঙ্গনে বাহ্যিকভাবে মনে হয়েছিল যে, বীর যোদ্ধারা পরাস্ত হয়েছেন। কিন্তু আসলে সেই আত্মদান এবং শাহাদতের মাধ্যমে...