বাংলাদেশের বহুজাতিক সংস্কৃতির ভাণ্ডারে মণিপুরী সম্প্রদায় এক উজ্জ্বল অধ্যায়। ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনি, লোককথা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে মণিপুরী জনগোষ্ঠী গড়ে তুলেছে স্বতন্ত্র পরিচয়। আজকের প্রতিবেদনে আলোচনায় থাকছে তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ধর্ম, জীবনযাপন ও বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাদের অবদান। মহাভারতে বর্ণিত আছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের পঞ্চপর্বত-বেষ্টিত মণিপুর রাজ্যে বাস করত নৃত্যগীতে পারদর্শী গন্ধর্ব জাতি। তাদের নামানুসারে একে বলা হতো ‘গন্ধর্ব রাজ্য’। পরবর্তীতে দেবী দুর্গা ও মহাদেবের পৌরাণিক লীলাখেলার স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ, যেখানে নাগপতি অনন্তের মণিবৃষ্টিতে উপত্যকা আলোকিত হয়েছিল, সেই ভূমিই পরিচিত হয় ‘মণিপুর’ নামে। মণিপুরে তিন প্রধান জনগোষ্ঠীর বসবাস। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী: অর্জুন ও চিত্রাঙ্গদার বংশধর ক্ষত্রিয় বংশোদ্ভূত বৈষ্ণব সম্প্রদায়। মৈতৈ মণিপুরী: মঙ্গোলীয়-তিব্বতীয় উৎস থেকে আগত, যারা সনাতন বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত। পাঙান মণিপুরী: মৈতৈ মাতা ও মুসলিম পিতার সন্তানরা, যারা ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করলেও মাতৃভাষায়...