বর্তমান বিশ্বে সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক আগ্রাসনের নগ্ন দৃষ্টান্তের নাম ‘ইসলামোফোবিয়া’। ইসলামোফোবিয়া সমসাময়িক বৈশ্বিক রাজনীতি ও সমাজে একটি বহুল আলোচিত ও উদ্বেগজনক বিষয়। শব্দটি ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি ভয় বা শঙ্কাকে নির্দেশ করে। তবে এর গভীরে নিহিত রয়েছে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক ঘৃণা, বৈষম্য, কাঠামোগত বর্জন ও রাজনৈতিক অপপ্রচার। ইসলামোফোবিয়া আজ কেবল একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া নয়, বরং একটি সুসংহত মতাদর্শ, যা মুসলমানদের ‘অন্য’ হিসাবে উপস্থাপন করে এবং তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যকে বৈধতা দেয়। ঐতিহাসিক শিকড়ের সন্ধানকালে প্রাচ্যবাদ থেকে ইসলামোফোবিয়া পর্যন্ত একটি দীর্ঘ পরিক্রমা দেখা যায়। ইসলামোফোবিয়ার শিকড় মধ্যযুগীয় খ্রিষ্টান-ইসলামিক দ্বন্দ্বে নিহিত। ক্রুসেড, রিকনকুইস্তা এবং তুরস্কের উসমানিয়া সাম্রাজ্যের সঙ্গে ইউরোপীয় শক্তির সংঘাত মুসলমানদের ইউরোপীয় কল্পনায় চিরশত্রু হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। পরবর্তী ঔপনিবেশিক যুগে দখলদারি কায়েমের স্বার্থে মুসলিম জনগোষ্ঠী ও...