একসময় যোগাযোগ মানেই ছিল চিঠি। অপেক্ষার প্রহর গুনে ডাকপিয়নের সাইকেলের ঘণ্টাধ্বনি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে-মাঠে হইচই পড়ে যেত। দূরে থাকা বাবা, প্রবাসী স্বামী কিংবা প্রিয় বন্ধুর খবর পৌঁছে যেত সাদা কাগজের ভাঁজে। কিন্তু সেই চিঠি খুলে পড়তে হলে দরকার ছিল একটি বিশেষ যোগ্যতা। প্রয়োজন ছিল সাক্ষরতার। অক্ষর না চিনলে চিঠির ভেতরের আনন্দ কিংবা দুঃখ, কোনো কিছুরই নাগাল পাওয়া যেত না। আজ আর ডাকপিয়নের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। হাতে মোবাইল ফোন, আঙুলের ছোঁয়ায় পৌঁছে যাচ্ছে মেসেজ। কেউ লিখছে না ‘প্রিয়তমা’ দিয়ে শুরু হওয়া দীর্ঘ চিঠি, বরং পাঠিয়ে দিচ্ছে ইমোজি ভরা ভয়েস নোট। চোখ দিয়ে অক্ষর পড়ার চেয়ে কানে শোনা এখন অনেক সহজ। ভয়েস কল কিংবা রেকর্ড পাঠানো আমাদের যোগাযোগকে করেছে দ্রুত। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, সাক্ষরতার প্রয়োজন কি ফুরিয়ে গেছে? আসলে...