গ্রন্থের ভূমিকায় শুরুতেই রয়েছে একটি সহজ-সরল স্বীকারোক্তি: ‘সত্তর দশকের শেষ দিকে একটি আদিবাসী তরুণীর প্রেমে পড়ি। বোমাং সার্কেলের রাজপুণ্যাহ দেখতে গিয়ে। সে ছিল পরমারূপসী আর অত্যন্ত মিষ্টভাষী। ডিভাইন লাভ বা বেহেশতি প্রেমের সেই অনুভূতিগুলো আজও আমাকে ভাবায়। আমি সেই মেয়েটার স্বপ্নময়তায় আদিবাসী পল্লি এলাকায় অনেক ঘুরেছি। অনেকের তিরস্কার, অনেকের পুরস্কার পেয়েছি। আবার দুঃখ-দারিদ্র্যজীর্ণ অনেক আদিবাসী মানুষের অসম্ভব সুন্দর আর ভালো মনের প্রকাশও লক্ষ করেছি। আমার স্বীকার করতে ভালো লাগে: আগের জন্মে আমি আদিবাসীই ছিলাম। টিলার ওপর ছিল আমাদের ঘর। লাউয়ের খোলে করে জল আনতাম অনেক দূরের ঝরনা থেকে, জুমচাষে আসত জীবিকা। নাপ্পি ও তরকারি পেলে সবচেয়ে ভালো মনে পেটপুরে খেতাম। বুনোহাঁস আর কালো হরিণের মাংসে আমাদের পালা-পার্বণগুলো বেশ জমত। আমার সেসব স্পষ্ট মনে পড়ে—আমি তো জাতিস্মর।’ এই স্বীকারোক্তিকে আমরা ‘কাব্যসত্য’...