২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে কোনো একদিন মিছিল-সমাবেশ শেষে মধুর ক্যান্টিন হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশ দিয়ে শাহবাগের দিকে যাচ্ছি। সঙ্গে দুই সহযোদ্ধা––আনিস ও আলী রিয়াজ। মসজিদের পুবদিকে রাস্তার পাশের ফুটপাতে একজন টিয়া পাখি নিয়ে হাত দেখে মানুষের ভবিষ্যৎ গণনা করছেন। হঠাৎ কৌতূহলবশত আমিও হাত দেখাতে গেলাম। টিয়া পাখিটি খাঁচা থেকে বের হয়ে অনেক চিঠির মধ্য থেকে একটা চিঠি ঠোঁটে নিয়ে ভবিষ্যৎ গণনাকারীকে দিল। সেই চিঠি পড়ে আমার হাত ধরে ভূত-ভবিষ্যৎ-বর্তমান বলতে শুরু করে দিলেন ভদ্রলোক। কিছু কিছু বিষয় মিলে গেল, যেমনটা মিলে সবার ক্ষেত্রেই। মিলল না বেশির ভাগ। হাত দেখানো শেষে আমার মাথায় দুষ্টুমি ভর করল। টাকা-পয়সা না দিয়েই হাঁটা ধরলাম। ভবিষ্যৎ গণনাকারী আমাকে “এ ভাই” করে ডাক দিয়ে বললেন, “টাকা দিলেন না যে?” আমি আবার বললাম, “আপনি তো...