ধরুন একজন মাজারপন্থি লোক নিজেকে ‘ঈশ্বর’ দাবি করল। তাহলে আমরা তার সম্পর্কে কি ধারণা করি? আমরা সাধারণত বলি যে, লোকটি ‘পাগল’ হয়ে গেছে অথবা অস্বাভাবিক আচরণ করছে। কিন্তু এজন্য কি আমরা তাকে ফতোয়া বা ব্যাখ্যা দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারি? এটা কি ধর্মের কাজ? ন্যায়নীতির কাজ? মানুষের মর্যাদার প্রতি সম্মানের কাজ? না, এটা বর্বরতা। হিংস্রতা। অমানবিকতা। এটি মানুষের অন্তর্নিহিত পাশবিকতাকে প্রকাশ করছে। ধর্মীয় বা সামাজিক কোনো যুক্তি দিয়ে এটি বৈধ করা যায় না। আমরা কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলি। ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলি। ন্যায়নীতির কথা বলি। মানবতার কথা বলি। বাস্তবে আমাদের অন্তরে লুকিয়ে আছে হিংস্রতা, বর্বরতা, অমানবিকতা, স্বৈরতান্ত্রিকতা, পাশবিকতা। এই অন্তঃস্থ হিংস্রতার প্রতিফলন ঘটছে প্রতিদিনকার সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ঘটনার মধ্যে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া...