সংস্কার কমিশনের সুপারিশ হচ্ছে, বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এবং তার জন্য অর্থ খরচের স্বাধীনতা থাকলে সরকারের নির্বাহী বিভাগের ওপর তাদের নির্ভরশীলতা কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও বলছেন, তাদের অধিকতর স্বাধীনতা দেওয়ার ব্যাপারে সরকার নীতিগতভাবে ইতিবাচক। কিন্তু স্বাধীনতা দেওয়া হলেও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা কঠিন হবে। নির্বাচন কমিশন ও দুদককে অনেক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা কখনো সরকারের নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব এড়িয়ে চলতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে বলে মনে হয় না। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রধানের মনমানসিকতা সংস্কারাবদ্ধ হলে, রাজনৈতিক দল বা দলের আদর্শের প্রতি অন্ধ ভক্তি ও আনুগত্য থাকলে, ঘুষ আর দুর্নীতির প্রতি মোহ সৃষ্টি হলে প্রতিষ্ঠানের অবাধ স্বাধীনতাও অকার্যকর হয়ে পড়ে। স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন বা বিধিবিধানের চেয়ে প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারকদের জ্ঞান-গরিমা, সাহস ও সক্ষমতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিষ্ঠানের কাঠামো এবং আইন,...