রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে গত শুক্রবার নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’ নামে এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে ‘তৌহিদি জনতা’ হিসেবে দাবি করা একটি গোষ্ঠী। সেই সময় সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে ইউএনওর একটি গাড়ি ও পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কোনো সভ্য সমাজে এমন অমানবিক কাজ কীভাবে ঘটে সেটা একটা প্রশ্ন। তথাকথিত তৌহিদি জনতা কেবল বর্বরতার নজিরই রাখেনি, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতিও গভীর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। কোনো বিষয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে বা কারও আদর্শ বা চিন্তাভাবনা নিয়ে কারও ভিন্ন মত থাকতে পারে তবে সেজন্য তার মৃতদেহ কবর থেকে কেউ তুলে ফেলতে পার না, মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলতে পারে না। এ ধরনের কাজ মানবতা ও সভ্যতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ। তৌহিদী জনতার নামে উগ্রবাদীতা ও নৈরাজ্য থামছেই...