ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি হন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের সুভাষ চন্দ্র বোস। ভিড়ে ঠাসা ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পাশেই বসে আছেন ছেলে সুকান্ত। সুকান্ত বলেন, ‘বাবাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন, কিন্তু পারব না, টাকাই নেই। এখানেই কেমো থেরাপি দিচ্ছি। যদি ক্যান্সার রোগীদের জন্য নির্মিত নতুন হাসপাতালটা চালু হতো, তাহলে এত কষ্ট পেতে হতো না।’ শেবাচিম হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে ক্যান্সার রোগীদের ইউনিটি রোগীতে ঠাসা। অনেকে জায়গা না পেয়ে বারান্দার মেঝেতে স্যালাইন হাতে শুয়ে আছে, পাশে কাঁদছে সন্তানসহ স্বজনরা। শেবাচিম হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে একটি ক্যান্সার ইউনিট থাকলেও নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও জনবল। কেবল রেডিওথেরাপিনির্ভর হয়ে আছে ক্যান্সার ইউনিটটি। ফলে এ অঞ্চলের মানুষকে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ছুটতে হয় রাজধানী ঢাকায়।...