ভারতের নদিয়া জেলার চাপড়া থানার হৃদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা পচি খাতুনের শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর যেন বাংলাদেশে থাকা তার নানাবাড়ির স্বজনরা অন্তত এক নজর তার মরদেহ দেখতে পারেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর (বিএসএফ) আন্তরিক প্রচেষ্টায় সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের কৃষ্ণনগর থেকে বিএসএফ সদস্যদের সহযোগিতায় পচি খাতুনের লাশ আনা হয় সীমান্তের ১২৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে। সেখানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর মাধ্যমে লাশ নিয়ে আসার পর মুজিবনগরে তার নিকট আত্মীয়দের দেখার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় ২০ মিনিট মরদেহটি সীমান্তে রাখা হয়। এ সময় নিকট আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের বিপুল সংখ্যক মানুষ পচি খাতুনকে শেষবারের মতো দেখে বিদায় জানান। পরে লাশটি আবার ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।...