ফলে অতি অল্প বয়সেই তিনি পিতা-মাতার ছায়া থেকে বঞ্চিত হন। শৈশবকালেই তিনি আশ্রয় নেন দাদা আবদুল মুত্তালিবের কাছে, তবে এই আশ্রয়ও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, দুই বছর যেতে না-যেতেই অর্থাৎ মাত্র আট বছর বয়সেই দাদাকেও হারান। এরপর তিনি চাচা আবু তালিবের স্নেহ-ছায়াল লালিত-পালিত হন। এজন্য কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিবকে (সা.) স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, আল্লাহ কি আপনাকে এতিম অবস্থায় পাননি, অতঃপর তিনি আপনাকে আশ্রয় দিয়েছেন? (সুরা দুহা, আয়াত: ৬) এই আয়াত নবিজির জীবনের শুরুটা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। এতিমই ছিল তার প্রথম পরিচয়, আর আল্লাহর দয়া ও মানুষের সহানুভূতিই ছিল তার আশ্রয়। যেহেতু তিনি নিজেই এতিম ছিলেন, তাই অন্য এতিমদের প্রতি তার দয়া ও সহানুভূতি ছিল সীমাহীন। নবিজি (সা.) এভাবে জীবনের প্রতিটি ধাপে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছেন। এই বাস্তব অভিজ্ঞতাই তাঁকে...