তার জন্মের পূর্বে গোটা আরব সমাজ ছিল অরাজকতা ও অবক্ষয়ে নিমজ্জিত। মানুষ ন্যায়-অন্যায় ভুলে গিয়ে লিপ্ত ছিল হানাহানি, যুদ্ধবিগ্রহ ও মূর্তিপূজায়। ইতিহাসে এ সময়কে বলা হয় ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’। এমন অন্ধকার সময়েই মানবতার মুক্তি ও আলোর পথ দেখানোর জন্য আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় রাসুল (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। অল্প বয়স থেকেই তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রেমে অনুরাগী। প্রায়ই তিনি মক্কার হেরা গুহায় নির্জনে ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ২৫ বছর বয়সে তিনি বিবি খাদিজা (রা.)-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর ৪০ বছর বয়সে মহান রবের পক্ষ থেকে নবুয়তের দায়িত্ব লাভ করেন। পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। তাই মুসলিম সমাজে ১২ রবিউল আউয়ালের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানেরা এ দিনকে যথাযোগ্য মর্যাদা...