এই আনন্দ আমরা উদযাপন করেছি শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যজুড়ে। এমনকি সংসারী হওয়ার পরও আমাদের এই উচ্ছ্বাস আর বিলের ভেতরে দাপাদাপির উন্মাদনায় কোনো ভাটা পড়েনি। কিন্তু হঠাৎ করেই আমাদের কাছে বিলগুলো অচেনা। সেখানে এখন ‘প্রবেশ নিষেধ’। দিন কয়েক আগে ছোট মামার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথন এমন: আমাদের তিন ভাইবোনোর শৈশব-কৈশোরের সবচেয়ে উজ্জ্বল স্মৃতিগুলো মিশে আছে নানাবাড়ির পেছনের এই বিলে। বরষায় তার এক রূপ, হেমন্তে আরেক, আবার শীতকালে এই বিল মেলে ধরে তার অন্যরকম ভালোবাসার জমিন। কিন্তু সেই বিলে বরষা ও শরতেও শাপলা নেই মানে হলো শীতে সবজিও হবে না। অন্য ঋতুতে ধান বা পাটও নয়। শুধু মাছ। রুই, কাতলা, মৃগেল। মানুষ শুধু মাছ খেয়ে থাকবে? বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ যে একটি প্রজেক্ট বা প্রকল্পশাসিত রাষ্ট্রে পরিণত হলো, ফসলের মাঠগুলোয় কল-কারখানা...