গভীর জীবনবোধের অসামান্য অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধপুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিজ্ঞ গবেষকেরা তাঁকে কবি কিংবা দার্শনিক যে অভিধায় অভিষিক্ত করুক না কেন, সর্বোপরি আমি তাঁকে শিকড়সন্ধানী চেতনালব্ধ তীর্থযাত্রী হিসেবেই মনে করি। তাঁর রচিত কবিতা, গল্প, নাটক কিংবা গান সবখানেই যেন পরিপক্ব মনোবিকাশ সঞ্চারী নিগূঢ়তম চাষাবাদের উর্বর ভূমিরূপে চেতনার বীজ রোপিত হয়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে আমি তাঁর নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ নিয়ে আলোচনা করবো। রবীন্দ্রনাথ এ নাটকের চিত্রাঙ্গদা চরিত্রে দ্বৈত সত্তার দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে এক চরমতম সত্য আবিষ্কার করেছেন। এখানে তাঁর দার্শনিক জ্ঞান মানবমনের দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের প্রাচীর ভেঙ্গে শৈল্পিক ও নান্দনিক চেতনার এক বিশাল ক্যানভাস সৃষ্টি করেছে। তিনি মানুষের আপন সত্তা আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানব মুক্তির উন্মুক্ত চেতনকে ধরতে চেয়েছেন। মূলত মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা উপাখ্যান রূপক ধরে নৃত্যনাট্যটি লেখা হলেও এ যেন হয়ে উঠেছে মানবের...