কাঁচা-পাকা রাস্তা এখানেই শেষ। বাকি চার কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটার। গিরি, ঝিরি ও উঁচু-নিচু পাহাড়ি ঢাল। রোমাঞ্চকর এই পথের শেষে আছে ঠান্ডা এক ঝিরি। হাঁটু পানির এই ঝিরিই আমাদের নিয়ে যাবে মায়াবিনী হামহাম জলপ্রপাতে। গহীন বনে লুকিয়ে থাকা অপরূপ এই সৌন্দর্যে হারানোর আগে একটু পেছনে ফিরি। ভোর সোয়া ৬টা। মাঝবয়সী সুপারভাইজারের কর্কশ কণ্ঠে ঘুম ভাঙলো। শরীরটা আড়মোড়া দিতেই কানে এলো শ্রীমঙ্গল পৌঁছেছি। ঘুম ঘুম চোখে ধীর পায়ে বাস থেকে নমে এলাম। কিছুক্ষণ পরেই এসে হাজির লাল রঙের জিপ গাড়ি। স্থানীয়দের কাছে এটি চাঁদের গাড়ি। আজ এই গাড়িই আমাদের গন্তব্য চিনিয়ে দেবে। চাঁদের গাড়ি ছুটছে। শহর থেকে বেরিয়ে লাউয়াছড়া উদ্যানের কোল ঘেঁষে গাড়ি এগোচ্ছে নূরজাহান জাতীয় চা বাগানের দিকে। জনমানবহীন এক নির্জন টিলার কাছে জিপের ইঞ্জিন বন্ধ হলো। এখানেই সকালের নাস্তা...