আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে আরব উপদ্বীপসহ সমগ্র বিশ্বে যখন চরম উচ্ছৃঙ্খলতা, পাপাচার, ব্যভিচার, মিথ্যা, হত্যা, লুণ্ঠন, মদ্যপান, জুয়া, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, নৈরাশ্য আর হাহাকার বিরাজ করছিল, ঠিক তখন মানবতার মুক্তির দিশারি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার শান্তির দূত হয়ে আবির্ভূত হলেন। রাসুল (সা.) হলেন বিশ্বমানবতার জন্য আল্লাহর এক অনন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত। মহান বিশ্বপরিচালক ঘোষণা করেছেন, ‘আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি বিশ্বজগতের জন্য বিশেষ রহমতস্বরূপ।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ১৭০)। আর মহানবী (সা.) ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় মহান উদার, বিনয়ী ও নম্র ব্যক্তিত্ব। তিনি উত্তম চরিত্র ও মহানুভবতার একমাত্র আধার। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, প্রতিবেশী সবার অকৃত্রিম শিক্ষণীয় আদর্শ ও প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নবী করিম (সা.) একাধারে সমাজ সংস্কারক, ন্যায়বিচারক, সাহসী যোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক এবং সফল ধর্ম...