সুফি সম্রাট মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমী যে যুগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন অটোমান সাম্রাজ্যের ভেতরে খ্রিস্টান আক্রমণকারীদের এবং বাইরে থেকে চেঙ্গিস খানের মঙ্গোল বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত ছিল। এমন সামাজিক ও রাজনৈতিক আলোড়ন রুমীকে তরুণ বয়স থেকে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলার দ্বারা দহন করছিল। বিশ্ব সংস্কৃতিতে রুমীর অবদান অসামান্য। তার ঐশী প্রেমের শিক্ষায় মানুষ যদি শিক্ষিত হয়ে ওঠে, তাহলে আজকের এই সমস্যাতাড়িত, সন্ত্রাসকবলিত, শতধা বিচ্ছিন্ন মানব জাতি অখ- ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। পৃথিবী যুদ্ধের আশঙ্কামুক্ত একটি শান্তির নীড়ে পরিণত হতে পারে। সম্ভবত এসব বিবেচনা করেই আজকের বিশ্ব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নত পাশ্চাত্য দুনিয়া রুমীর লেখার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য পাগলপারা হয়ে উঠছে। এরই প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ইউনেস্কো কর্তৃক ২০০৭ সালকে ‘রুমী বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণায় বলা হয় ‘রুমী কেবল মুসলমান, পারস্য...