‘আদার কালারস্’ গ্রন্থে ওরহান পামুক যাঁদের নিয়ে লিখেছেন তাঁরা সকলেই তাঁদের নিজস্ব ভাষায় অপিচ বিশ্বসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা রচয়িতা। খালেদ হামিদী তাঁর সীমাবদ্ধ কলেবরের ভাষান্তরে যাঁদের নিয়ে আসেন তাঁরাও একেকজন নবদিগন্ত উন্মোচনকারী হিসেবেই স্বীকৃত ওরহান পামুক সেই সৎ ও সাহসী লেখক যিনি জন্মসূত্রে তুর্কি হয়েও তুরস্কের দ্বারা সংঘটিত আর্মেনিয় গণহত্যারসত্যকে তুলে ধরেছেন এবং তাঁর সৃজনশীল প্রতিবাদী সত্তা দিয়ে সেই ভয়ংকর অমানবিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদকরেছেন। তাঁর যে-কয়েকটি গ্রন্থ পাঠ করতে পেরেছি, পাঠ করে মনে হয়েছিল, আহা যদি তুর্কি ভাষাটাও শেখাযেতো! বিহারি আবু সয়ীদ আইয়ুব রবীন্দ্রানুরাগে নিমজ্জিত হয়ে বাংলা ভাষা শিখে এক শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্র-সাহিত্যেরসমালোচকই হয়ে গেলেন। আমি না হয় মূল ভাষায় পামুকই পড়ি। কিন্তু জীবন আমাকে এডওয়ার্ড লোবোর ধরনে বলে, ‘লাইফ ইজ আ ওয়ান ওয়ে রোড’ ম্যান! তাই তো, পেছনে তাকিয়ে দেখি সেই...